এলোমেলো নিশিকাব্য
কি দুঃসহ দুঃসময় পার হয়ে যাচ্ছে, তাতে ব্রহ্মচারী কাক মাথা উঠাতে যেয়ে থমকে তাকিয়ে থাকে অপলক তোমার দিকে। কি নিষ্ঠুরতার চোখে তুমি বন্দি! এই কাউকে প্রাণ খুলে ভালবাসতে পারছি না — বলো, এটা কি শাস্তির মধ্যে কঠোরতম নয়? অলস দুঃখের নদী মস্তিষ্কে বয়ে যায়; সেখানে স্নান শেষে কুকুর টলমলে মূত্র বিসর্জন করে। তোমার কি প্রচণ্ড ঘৃণা হচ্ছে আমার, তোমার কিংবা আমাদের উপর? রাত বেড়ে যায়, অনুভূতিগুলো এসে আঁকড়ে ধরে। বিষণ্নতায় গাল ও চোখ প্লাবিত হয়ে হৃদয়ের ওজন কেজি দু-এক কমে যায়। দুনিয়া মিথ্যে মনে হলে প্রমিতকরণ ভালোবাসা উপচে পড়ে, তাতে হয়তো কিছু কুকুরের মৃত্যু হয়।
তুমি কি জানো, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যে কুকুরগুলো মারা যায়, তাদের মৃত্যুর এক মাস হতে যে পাঁচটি শুক্রবারের দরকার হয়! বাদ দাও, আমি জানি তুমি এসব হিসাব করে দেখোনি কখনো। যেখানে আমার সমগ্র ভালবাসাই কখনো অনুভব করতে না পেরে কাদা ছোড়ো আমার দিকে—যে আমি নাকি অনুভব করাতে পারিনি! সেখানে তুমি কিভাবে বুঝবে, জোছনা রাতে পানির কলকলে শব্দে কেমন নেশা লাগে! আমি হারিয়ে যাচ্ছি তোমার অতলে আরো গভীরে—কি যে এক মায়ার বাঁধনে বেঁধেছ বলো। তুমি কেন এমন হলে? আমার অসুস্থ নিশিকাব্য শেষ হতে হতে আমি হারিয়ে যাই, তবুও তুমি ঘুমালে না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন